বিজেপিকে রুখতে আমরা একজোট হয়ে লড়ব: মমতা
বিজেপিকে রুখতে আমরা একজোট হয়ে লড়ব: মমতা
আজ পটনায় বিরোধী দলগুলির বৈঠক। সেই বৈঠকে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ পটনা পৌঁছে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম রয়েছেন। বিহারের মাটিতে পা দিয়েই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীরা একটি পরিবারের মতো লড়বে। উল্লেখ্য, বিরোধীদের বৈঠকে মমতাই যে মধ্যমণি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এ দিন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। লালুর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন তিনি। এরপর লালু রাবড়ি-তেজস্বীর সঙ্গে বসে প্রাথমিক কথাবার্তাও সেরে নেন মমতা। সূত্রের খবর, লালুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নেন মমতা। কিছুক্ষণ ঘরোয়া আলোচনাও চলে। বৈঠক শেষে লালু-পুত্র তেজস্বীর
বাসভবনের বাইরে সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেন মমতাকে। সেখানে মমতা বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্যের উপর জোর দেন। বলেন, ২০২৪ লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারাতে হলে বিরোধীদের জোট বাঁধতে হবে। বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলি একটি পরিবারের মতো লড়বে। আমরা এখানে এসেছি যাতে আমরা একজোট হয়ে লড়তে পারি। এখানেও একের বিরুদ্ধে ফর্মুলায় লড়ার বার্তা দেন মমতা। তিনি বলেন, যে দল যেখানে শক্তিশালী সেখানে সেই দলের জন্যই লালু প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “অনেকদিন পর
লালুপ্রসাদজির সঙ্গে দেখা হয়ে খুবই ভালো লাগছে। উনি অনেক দিনের রাজনীতিক। মাঝে তাঁকে জেলে যেতে হয়েছিল। শরীর খুব অসুস্থ ছিল। আজ এসে দেখলাম, ওঁর শরীর অনেকটা ভালো। আমার মনে হয়, বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে এখনও লালুজি অনেক বেশি দাপট নিয়ে লড়বেন। তেজস্বী, রাবড়ি দেবীর সঙ্গে দেখা হয়ে খুব ভালো লাগল। লালুর সঙ্গে বৈঠকের পর এ দিন সার্কিট হাউজে গিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন
মমতা। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে অন্যান্য বিরোধীরা আসন ছেড়ে দেবে। উত্তরপ্রদেশ থেকে শুধু সমাজবাদী পার্টি বৈঠকে যোগ দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় লোকদলের তরফে জয়ন্ত চৌধুরি উপস্থিত থাকতে পারবে না বলে জানিয়েছেন পারিবারিক অনুষ্ঠান থাকার কারণে। বসপা নেত্রী মায়াবতীকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যা নিয়ে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন তিনি। পটনার এই বৈঠককে নিশানা করে তিনি বলেছেন, ওখানে হেভিওয়েট নেতারা। তো শুধু হাত মেলানো হবে, হৃদয় মিলবে না। বৈঠকে থাকবে না নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দলও। আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবার শর্ত দিয়েছেন, অর্ডিন্যান্স
ইস্যুতে তাদের কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি সমর্থন জানালে তবেই তাঁরা বৈঠকে যোগ দেবেন। এ ছাড়া প্রায় সমস্ত বিরোধী দলই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাকে। বৈঠকে থাকবেন বলে খবর মিলেছে। থাকবেন উদ্ধব ঠাকরে, সীতারাম ইয়েচুরি, এম কে স্ট্যালিন শরদ পাওয়ার, হেমন্ত শোরেনের মতো 2028 লোকসভা ভোটের আগে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “বিরোধীরা সবাই মিলে বসে সব ঠিক করা হবে। ওয়ান ইজ টু ওয়ান ফর্মুলায় লড়াই হবে। সকলের সঙ্গে কথা বলে নীতি নির্ধারণ হবে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন