মোদির আমেরিকা ও মিশর সফর নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
মোদির আমেরিকা ও মিশর সফর নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
ছয় দিনের বিদেশ সফর শেষে ২৬ জুন, সোমবার সকাল সকাল দেশে ফিরে এলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর এই সফরের তালিকায় ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর। এই সফরকে বিশেষজ্ঞরা তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন, এই ভ্রমণ থেকে ভারতের প্রাপ্তির ঝুলি প্রায় শূন্য। বিশেষ কিছু অর্জন
করা যায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষ করে শনিবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে হাজির হন মোদি। মিশরে এই প্রথম গেলেন তিনি। রবিবার তাঁর এই ভ্রমণ শেষ হয়। মিশরের রাষ্ট্রপতি আব্দেল ফাতাহ এল সিসির সঙ্গে তাঁর কথা হয় এবং তাঁকে 'অর্ডার অফ দা নাইল' শিরোপা দেওয়া হয়। এই পুরস্কার প্রসঙ্গে অশোক সোয়েন উল্লেখ করেন, এই পুরস্কার আগে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান তাঁর পিতা শেখ
মুজিবের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সাম্প্রতিক এক প্রবন্ধে সুলেখক ও বরিষ্ঠ চিন্তাবিদ অ্যাশলে জে টেলিস সতর্ক করেছিলেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সহাযোগিতার একটা সীমা রয়েছে এবং ওয়াশিংটন সেই বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন হবে। তাঁর প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল 'আমেরিকা'জ ব্যাড বেট অন ইন্ডিয়া'। তিনি লেখেন, দীনের সঙ্গে আমাদের যে
কোনও রকম যুদ্ধে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু আমার মনে হয়, ভারত হয়ত সামরিক ভাবে যুক্ত হবে না। কারণ, ভারত নিজেই চিনা হুমকির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করা আর চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানে যুক্ত হওয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে বলে আমি মনে করি। আমার ধারণা, ভারত কেবলমাত্র সমর্থনই করবে। সামরিক ভাবে সক্রিয় হবে ন চীন আঠার মতো। চীনের উত্থান নিয়ে উভয়পক্ষই উদ্বিগ্ন। টেলিসের
বক্তব্যের ্যালঘু বিষয়ের বিশেষ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনও প্রতিরক্ষা জোটের মধ্যে আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতরে ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিষয়ের বিশেষ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন নক্স টেমস। ওবামা ও ট্রাম্প প্রশাসনে এই দায়িত্বে ছিলেন তিনিনক্স বলেন, দইউক্রেনের সমর্থনের ব্যাপারে মোদি বেশ উত্তপ্ত হয়ে রয়েছেন। হোয়াইট হাউজে সাংবাদিক সম্মেলনে মোদি অস্পষ্ট ভাবে শুধুমাত্র বলতে পারলেন যে, কথোপকথন ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে ফেলা
উচিত। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ কোনও নিন্দাসূচক বিবৃতি নেইফলত, যৌথ মূল্যবোধ থেকে ভারতের সরে যাওয়াকে পাল্টা দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে ভারতের নাগরিক সমাজের দিকটি। আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতরে ধর্মীয় সংখ করেছেন নক্স টেমসওবামা ও ট্রাম্প প্রশাসনে এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি শুধুমাত্র
বলতে পারলেন যে, কথোপকথন ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে। ফেলা উচিতরাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ কোনও নিন্দাসূচক বিবৃতি নেইফলত, যৌথ মূল্যবোধ থেকে ভারতের সরে যাওয়াকে পাল্টা দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে ভারতের নাগরিক সমাজের দিকটিপ্রকাশ্যে আমাদের উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করতে হবে এবং অপরাধ সংঘটিত হলে তার পরিণতি কী হবে তা নির্ধারণ করতে হবে দে মিশরে গিয়ে মোদি চারটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেনপররাষ্ট্র বিষয়ক সেক্রেটারি বিনয় মোহন কাতরা ঘোষণা করেছেন, এগুলির মধ্যে একটি হল, ভারত ও মিশরের মধ্যে কৌশলী মৈত্রীএই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও মিশরের রাষ্ট্রপতি এল সিসিপ্রধানমন্ত্রী মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এক যৌথ বিবৃতিও পেশ করেছেন। যাতে মার্কিন-ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যতের রূপরেখা নিয়ে খসড়া করা হয়েছেl
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন