Header Ads

Breaking News

ভাঙা হবে হায়দরাবাদের ওসমানিয়া হাসপাতাল বিল্ডিং

 

ভাঙা হবে হায়দরাবাদের ওসমানিয়া হাসপাতাল বিল্ডিং

ভাঙা হবে হায়দরাবাদের ওসমানিয়া হাসপাতাল বিল্ডিং



হায়দরাবাদ, ২৯ জুলাই: সব জল্পনা বিতর্কের অবসান। হেরিটেজ বা ঐতিহাসিক ইমারত রক্ষণকারীদের অনুরোধ উপেক্ষা করেই তেলেঙ্গানা সরকার অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে হায়দরাবাদের ওসমানিয়া হাসপাতাল বিল্ডিং ভেঙে ফেলা হবে। এই মর্মে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে যে এফিডেভিট জমা দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয় এই ঐতিহাসিক সৌধটি ভেঙে ফেলার জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মাহমুদ আলি

হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েসি এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। ঐতিহাসিক ইমারতটির ভগ্ন অবস্থা রিপেয়ার করার অযোগ্য। তাই এখানে নতুন হাসপাতাল বিল্ডিং তৈরি হবে। তালসানি শ্রীনবাস হায়দরাবাদের শেষ নিজাম মির ওসমান আলি খানের নাম অনুসারে এই হাসপাতালটি হায়দরাবাদ আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি রেগুলেশান অনুযায়ী হেরিটেজ বিল্ডিং হিসেবে সংরক্ষিত। ইতিপূর্বেও ২০১৫ সালে এই ওসমানিয়া হাসপাতাল বিল্ডিংটি ভেঙে ফেলার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখ রাও। কিন্তু সে-সময় হেরিটেজ রক্ষা নিয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়া দেখে মুখ্যমন্ত্রী মত পরিবর্তন করেছিলেন। বর্তমানে

এই হাসপাতাল বিল্ডিংটি ভারতের প্রাচীন হাসপাতাল হিসেবে গণ্য হচ্ছিল। কিন্তু সেটির ভগ্নদশা দেখে এবং বেশি স্পেস ব্যবহার করার লক্ষ্যে পুরনো বিল্ডিং ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এখানে রোগীর চাপ বাড়ছে, তাই হাসপাতালের বেড সংখ্যা বর্তমানে ১১০০ থেকে বাড়িয়ে ১৮০০- বেশি করতে হবে। পুরনো বিল্ডিং ভেঙে সেখানে ৩৫ লক্ষ ৭৬ হাজার বর্গফুট স্পেস পাওয়া যাবে। তবে এই প্রস্তাবিত নতুন বিল্ডিংটির স্থাপত্য ডিজাইন নিয়ে কোনও ধারণা দেওয়া হয়নি। ইতিপূর্বে নতুন বিধানসভা নির্মাণে দাক্ষিণাত্যের স্থাপত্যকলা নিজাম আমলের ডিজাইনের সংমিশ্রণ ঘটানো হল সমালোচনা করে হিন্দুত্ব গোষ্ঠীরা।

 তাই নতুন হাসপাতাল বিল্ডিংটিতে নিজামি আমলের স্থাপত্যের ছোঁয়া থাকবে কি না, সেটা নিয়ে বিশদ জানানো হয়নি। সরকারের যুক্তি ভগ্নপ্রায় বিল্ডিংয়ের জায়গায় আরও বড় হাসপাতাল তৈরি হবে এজন্য ২০০ কোটি টাকা বাজেটও ধরা হয়েছে। কিন্তু হেরিটেজ রক্ষাকারীদের যুক্তি হেরিটেজ সৌধ সুরক্ষা করা যায় আধুনিক পদ্ধতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর থেকেও প্রাচীন বিল্ডিং সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। হাইকোর্টে তাই একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়েছে ভাঙবার বিপক্ষে এবং পক্ষেও। ২৭ জুলাই তেলেঙ্গানার কেসিআর সরকারের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার ফলে আফজল গঞ্জে ওসমানিয়ার এক উজ্জ্বল স্মৃতি মুছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই