রোযা রাখতে বদ্ধপরিকর ফিলিস্তিনিরা
ইসরাইলি হামলার মধ্যেই পবিত্র রমযানকে স্বাগত জানাল গাজা
Lmnew100: গাজা, ১১ মার্চ: চাঁদচাঁ দেখার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শুরু হয়েছে পবিত্র রমযান মাস। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যেরর্যে মাসটি
পালশাকীবেন সারাবিশ্বের মুসলিমরা। তবে এবারের রমযানে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের চিত্রটা ভিন্ন। খোলা আকাশের নিচে কোনও
রকমে মাথা গোঁজা গোঁ র ঠাঁইঠাঁ হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের। তাদের কাছে পর্যা প্তর্যা খাবার নেই, পানি নেই। নেই জীবন রক্ষাকারী ওষুধ।
লাগাতার চলছে ইসরাইলের বোমাবর্ষণ।র্ষ এমন হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির মধ্যেই পবিত্র রমযানকে স্বাগত জানিয়েছেন গাজার মানুষরা।
রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, রমযান মাস এমন এক সময়ে শুরু হয়েছে যখন 'গাজার সর্বত্রর্ব ক্ষুধা' বিরাজ করছে।
রোযার মাসে 'অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি' করার আহ্বানও পুনর্ব্য ক্ত করে সংস্থাটি। তবে রমযানে ফিলিস্তিনিদের মনের জোরকে কুর্নিশর্নি
জানাতেই হয়। এরকম ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে ইসলামকে আরও বেশি করে আঁকআঁ ড়ে ধরছেন তাঁরা তাঁ । বোমা
হামলার মধ্যে, তীব্র ক্ষুধা ও
মন্দাকে সঙ্গে নিয়েই রোযা রাখছেন গাজাবাসী। ফিলিস্তিনের পথের শিশুরাও বড়দের মতো রোযা রাখতে ইচ্ছুক। তাদের থাকার জন্য
নেই কোনও নিরাপদ জায়গা, নেই অন্ন-বস্ত্রের কোনও
নিশ্চয়তা। সেহরি ও ইফতারের খাবারটুকুও তাদের পক্ষে জোটানো মুশকিল। তবুও রমযানের আগমনে ফিলিস্তিনিদের মন উজ্জীবিত
হয়ে উঠেছে। তারা যেন শত্রু দের বলছে, তোমরা ভূমি
দখল করতে পারো। কিন্তুআমাদের ইমানদারিকে ম্লান করতে পারো না। ফিলিস্তিনের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এবারের রমযান হবে
ভিন্ন। অন্য বছরের মতো এবার রমযান পালনের সুযোগ নেই। কারণ, এখনও পর্যন্তর্য এক হাজারেরও বেশি মসজিদ ইসরাইলি হামলায়
ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এ দিকে, ইসরাইল আর হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি না হওয়ায় রমযানে জেরুসালেমে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার
আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ মাসে আল-আকসা মসজিদে যাতায়াত ও পরিদর্শনের্শ র সুযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে হামাস। রোযার
শুরুতে 80 দিনের একটা যুদ্ধবিরতি কার্যকরর্য হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্তর্য তা ভেস্তে গেছে
গাজার স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, 'নিয়মিত রমযানের ঐতিহ্য উদযাপন ও উপভোগ করতে
পছন্দ করেন মানুষজন। কিন্তু এ বছর তার কিছুই হবে না। এই পবিত্র মাসে আমরা কোনও মৃত্যুমৃ ত্যু চাই না। আমরা শুধুশান্তি চাই।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন