আবার ও রমযানেও হামলা আল-শিফা হাসপাতালে
আবার ও রমযানেও হামলা আল-শিফা হাসপাতালে ১৩ হাজারেরও বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরাইল
Lmnews100 গাজা, ১৮ মার্চ: পবিত্র রমযানে বিশ্বের মুসলিমরা যখন ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল, তখন গাজাবাসীর দিন কাটছেঅনাহারে।রোযার মাসে সেহরি ও ইফতারের জন্য সামান্য রুটিও নসিব হচ্ছে না তাঁদেতাঁ র। গাজার বেশিরভাগ মানুষই অনাহারে দিনকাটাচ্ছেন, তাঁদেতাঁ র সঙ্গে হরদম রয়েছে এক চাপা আতঙ্ক। কারণ, প্রায় প্রতিদিনই হানা দিচ্ছে ইহুদি বাহিনী। এতে রমযানের মাসে বহু
নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরছে। তবুও গাজার ধর্মপ্রা র্ম ণ মুসল্লিরা রোযা পালন করছেন ও নামায আদায় করছেন। ইসরাইলি হানায়উপত্যকার ১ হাজারেরও বেশি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ঠিকই কিন্তু ইমানদার মুসলিমদের মনোবল ভাঙতে পারেনি তারা। এই
প্রতিকূলতার মধ্যেও ফিলিস্তিনিরা প্রতিটা রোযা রেখে চলেছেন। ইসরাইল অবশ্য সব আইন-কানুন ভেঙে তাদের বর্বরর্ব হামলা অব্যাহতরেখেছে। সর্বশের্ব ষ গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ঘিরে রেখে গুলি চালিয়েছে ইহুদি সেনা। ইসরাইলের সেনার এক মুখপাত্র দাবিকরেছে, হাসপাতালের ভেতরে আবার একজোট হচ্ছে হামাসের একটি দল। এর প্রেক্ষিতে সেখানে হামলা চালানো হয়েছে। বর্তমা র্ত নেআল
শিফা হাসপাতালে ভয়াবহ অবস্থাবিরাজ করছে। সেখানে আটকে পড়েছেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ওয়াদিয়া আবুআলসৌদ। সেখান থেকে পাঠানো ভিডিয়োয় তিনিবলেছেন, 'হাসপাতালের পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। র্য এটাই হতে পারে আমার শেষ ভিডিয়ো।' আরও বলেন, 'হাসপাতালের ভেতরে আটকে
পড়েছি আমরা। আমাদের দিকে গুলি ছোড়া হচ্ছে। দখলদাররা আকস্মিকভাবে হাসপাতাল ও এর আশপাশ ঘিরে ফেলেছে। আপনারাএখন শুনতে পাচ্ছেন আল-শিফা হাসপাতালেরআশপাশে তীব্র সংঘর্ষ চলর্ষ ছে। হাসপাতালের গেটে গুলি বিনিময়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছি। আমরা যাতে নিরাপদে বের হতে পারি, এজন্যদোয়া করুন।' গাজার মিডিয়া অফিস বলেছে, ইসরাইলি সেনা, ট্যাঙ্ক ও ড্রোন সক্রিয় রয়েছে আল-শিফা হাসপাতালে। এই অভিযানের
কড়া নিন্দা জানিয়েছে মিডিয়া অফিস। এই হামলাকে 'যুদ্ধাপরাধ' বলা হচ্ছে সব মহল থেকে। সোমবার দিনের শুরুতে মানুষ যখনসেহরি খেতে বসেন ঠিক তখনই এই হামলা শুরুহয়। ইসরাইলিরা হাসপাতালের ভিতরে গুলি চালাতে শুরু করে। এতে সেখানে আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার মানুষের জীবন ঝুঁকিতেপড়ে। এ দিকে, গাজার দক্ষিণাঞ্চল
রাফায় হামলা চালানোর বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন জার্মা নর্মা চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ। কারণ, ওই এলাকায় কমপক্ষে ১০ লক্ষ সাধারণমানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! রাফায় স্থল অভিযান চালাতে তৈরি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহু। তার নির্দেশে রাফায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনা। ওদিকে যুদ্ধ বন্ধে তিন দফার পরিকল্পনা দিয়েছে হামাস। এনিয়ে আলোচনা করতে কাতারের রাজধানী দোহায় উপস্থিত হওয়ার কথা ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ প্রধানের।প্রসঙ্গত, ইসরাইলের আক্রমণে গাজায় ১৩ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। সংস্থাটি জানিয়েছে, অনেক
শিশু গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে, এমনকী তাদের কান্নার শক্তিও নেই। উত্তর গাজায় ২ বছরের কম বয়সি প্রতি তিনটির মধ্যে একটি
শিশু এখন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। ৭ অক্টোবর হামাসের রকেট হামলার পর গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩১,৬৪৫ ছাড়িয়ে গেছে।আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৩,৬৭৬ জন।
Lmnews100 গাজা, ১৮ মার্চ: পবিত্র রমযানে বিশ্বের মুসলিমরা যখন ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল, তখন গাজাবাসীর দিন কাটছে
অনাহারে।
রোযার মাসে সেহরি ও ইফতারের জন্য সামান্য রুটিও নসিব হচ্ছে না তাঁদেতাঁ র। গাজার বেশিরভাগ মানুষই অনাহারে দিন
কাটাচ্ছেন, তাঁদেতাঁ র সঙ্গে হরদম রয়েছে এক চাপা আতঙ্ক। কারণ, প্রায় প্রতিদিনই হানা দিচ্ছে ইহুদি বাহিনী। এতে রমযানের মাসে বহু
নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরছে। তবুও গাজার ধর্মপ্রা র্ম ণ মুসল্লিরা রোযা পালন করছেন ও নামায আদায় করছেন। ইসরাইলি হানায়
উপত্যকার ১ হাজারেরও বেশি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ঠিকই কিন্তু ইমানদার মুসলিমদের মনোবল ভাঙতে পারেনি তারা। এই
প্রতিকূলতার মধ্যেও ফিলিস্তিনিরা প্রতিটা রোযা রেখে চলেছেন। ইসরাইল অবশ্য সব আইন-কানুন ভেঙে তাদের বর্বরর্ব হামলা অব্যাহত
রেখেছে। সর্বশের্ব ষ গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ঘিরে রেখে গুলি চালিয়েছে ইহুদি সেনা। ইসরাইলের সেনার এক মুখপাত্র দাবি
করেছে, হাসপাতালের ভেতরে আবার
একজোট হচ্ছে হামাসের একটি দল। এর প্রেক্ষিতে সেখানে হামলা চালানো হয়েছে। বর্তমা র্ত নে
আল
শিফা হাসপাতালে ভয়াবহ অবস্থা
বিরাজ করছে। সেখানে আটকে পড়েছেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ওয়াদিয়া আবুআলসৌদ। সেখান থেকে পাঠানো ভিডিয়োয় তিনি
বলেছেন, 'হাসপাতালের পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। র্য এটাই হতে পারে আমার শেষ ভিডিয়ো।' আরও বলেন, 'হাসপাতালের ভেতরে আটকে
পড়েছি আমরা। আমাদের দিকে গুলি ছোড়া হচ্ছে। দখলদাররা আকস্মিকভাবে হাসপাতাল ও এর আশপাশ ঘিরে ফেলেছে। আপনারা
এখন শুনতে পাচ্ছেন আল-শিফা হাসপাতালের
আশপাশে তীব্র সংঘর্ষ চলর্ষ ছে। হাসপাতালের গেটে গুলি বিনিময়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছি। আমরা যাতে নিরাপদে বের হতে পারি, এজন্য
দোয়া করুন।' গাজার মিডিয়া অফিস বলেছে, ইসরাইলি সেনা, ট্যাঙ্ক ও ড্রোন সক্রিয় রয়েছে আল-শিফা হাসপাতালে। এই অভিযানের
কড়া নিন্দা জানিয়েছে মিডিয়া অফিস। এই হামলাকে 'যুদ্ধাপরাধ' বলা হচ্ছে সব মহল থেকে। সোমবার দিনের শুরুতে মানুষ যখন
সেহরি খেতে বসেন ঠিক তখনই এই হামলা শুরু
হয়। ইসরাইলিরা হাসপাতালের ভিতরে গুলি চালাতে শুরু করে। এতে সেখানে আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার মানুষের জীবন ঝুঁকিতে
পড়ে। এ দিকে, গাজার দক্ষিণাঞ্চল
রাফায় হামলা চালানোর বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন জার্মা নর্মা চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ। কারণ, ওই এলাকায় কমপক্ষে ১০ লক্ষ সাধারণ
মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! রাফায় স্থল অভিযান চালাতে তৈরি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহু। তার নির্দেশে রাফায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি সেনা। ওদিকে যুদ্ধ বন্ধে তিন দফার পরিকল্পনা দিয়েছে হামাস। এ
নিয়ে আলোচনা করতে কাতারের রাজধানী দোহায় উপস্থিত হওয়ার কথা ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ প্রধানের।
প্রসঙ্গত, ইসরাইলের আক্রমণে গাজায় ১৩ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। সংস্থাটি জানিয়েছে, অনেক
শিশু গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে, এমনকী তাদের কান্নার শক্তিও নেই। উত্তর গাজায় ২ বছরের কম বয়সি প্রতি তিনটির মধ্যে একটি
শিশু এখন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। ৭ অক্টোবর হামাসের রকেট হামলার পর গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩১,৬৪৫ ছাড়িয়ে গেছে।
আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৩,৬৭৬ জন।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন